আজকের শিরোনাম :

লক্ষীপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে অসহায় গৃহবধূর ইজ্জত হননের চেষ্টা 

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া এক অসহায় গৃহবধূর ইজ্জত হননের জন্য মরিয়া হয়ে  উঠেছে লক্ষীপুর ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ নাদু মিয়া (৬০)।

নাধু মিয়ার লুলুপ দৃষ্টির শিকার এক কন্যা সন্তানের জননী, গৃহবধূ ডলি আক্তার  জানান, আমি একজন বাউল  শিল্পী ।স্বামী ফেলে চলে গেছে। এখন আর গান করিনা। একটি মেয়ে সন্তান নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করা গরীব ও অসহায় একজন নারী। আমি মাতাগুজার জন্য একটি ঘরের জন্য অনেক মানুষের কাছে গেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের দয়ায় একটা ঘর পাইছি। ভাবছিলাম শান্তি সুখে থাকব।

নাদু মিয়া আমাকেনাতনী বলে ডাকে। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে গভীর রাতে আমার ঘরে ঢুকে আড্ডা দেয়,পান, সুপারী খায়।কয়েকদিন পর পর আমার জাতীয় পরিচয় পত্র চায়।বেশ কয়েবার নেওয়ার পর আবারো চায়। পরে তার আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি সতর্ক হয়ে যাই। এরপর সরাসরি আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়।তিনি আমার ইজ্জত নষ্ট করার জন্য বলে। প্রায় রাতেই আমার ঘরের দরজায় উপস্থিত হয়ে ডাকাডাকি  করে।গতকাল ৪ ঠা জানুয়ারী  রাত ১১ টার দিকে আমার ঘরের দরজায় ধাক্কা ধাক্কি করে আমাকে নামধরে ডাকতে শুরু করে ও জোর জবরদস্তি করে আমার ইজ্জত নষ্ট করার চেষ্টা চালায়। পরে আমি  ইজ্জত বাঁচাইতে লোকজনের কাছে মুখ খুলতে বাধ্য হই।
 
ওই গৃহবধূর পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যা যার নাম দিয়া,এ ঘটনায় ভয় পেয়ে কান্না করতে থাকে।সে বলে রাইতকালা ওই বেডাডা(নাদু মিয়া) আমগো ঘরে জোরে জোরে বাইরা বাইরি করে। আম্মার কাছে কি জানি কয়, আর খালি আইডেন্টি কার্ড চায়। আমার ডর লাগে। 

ভিকটিম গৃহবধূ ডলি আক্তার, আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমারে ঘর দিছে,কিন্তু নাদু মিয়ার জন্য আমি আমি ওই ঘরে শান্তিতে থাকতে পারছিনা। নাদু মিয়া আমারে ভয় দেখাইয়া হুমকি দেয় আমি আওয়ামীলীগের সভাপতি, আমার অনেক ক্ষমতা, তুই আমার কিছুই করতে পারবিনা।তাই ভুক্তভরাগী ডলি বলেন,আমি জনগণের কাছে বিচার চাই, সরকারের কাছে বিচার চাই,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই।

এ ব্যাপারে লক্ষীপুর গ্রামের স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান,ঘটনা সত্য, অসহায় মেয়েটির  ঘরে ঢুকে সভাপতি নাদু মিয়া  ইজ্জত নষ্ট করার পায়তারা  করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক স্থানীয়রা জানায়,একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে লক্ষীপুর ৯ নং ওয়ার্ডের আ.সভাপতি ও অভিযুক্ত নাদু মিয়ার কাছে  জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা আমার কিছুই করতে পারবেন না, আপনারা যা খুশী তা লিখতে পারেন। 

এবিএন/মোঃ আব্দুল হান্নান/জসিম/তানভীর হাসান 

এই বিভাগের আরো সংবাদ